প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবার ভাগ্য ভালো হয়না। কারও প্রেমের সম্পর্ক আজীবন টিকে যায়, আবার কারও সম্পর্ক মাঝপথেই থেমে যায়। বর্তমানে অবশ্য তরুণ তরুণীদের মাঝে অনলাইনে প্রেমে পড়ার ঝোঁক বেড়েছে।
অনলাইনে প্রেম হয়, তারপর মেলামেশা, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই পরস্পরের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন অনেকে। এতে করে ছিন্ন হয় সম্পর্ক! বর্তমানে দূরবর্তী প্রেমের সম্পর্কগুলো টিকে না বললেই চলে। সেক্ষেত্রে কোনো অপমান বা একে অপরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নয়,পারস্পারিক সম্মান রেখেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। তা না হলে আজীবন মনের মধ্যে ক্ষত বয়ে বেড়াতে হতে পারে। যদিও সম্পর্কে বিচ্ছেদের কথা বলা সহজ নয়। সুষ্ঠুভাবে সম্পর্কের বিচ্ছেদ চাইলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
সম্পর্ককে যদি ‘বোঝা’ বলে মনে হয়, তবে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা ভালো। সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায় চলে যাওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে বিষয়টির সমাধান করুন। আপনি এই সম্পর্কে আর থাকতে পারছেন না সঙ্গীকে খুলে বলুন।
অবশ্যই তিক্ততা দিয়ে সম্পর্ক শেষ করা যাবে না। সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন, তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো সুখের ছিল। কিন্তু এখন আপনি আগের অনুভূতি পাচ্ছেন না।
সম্পর্কে থাকাকালীন অনেক সময়ই একে অপরের প্রতি এক ধরনের অধিকারবোধ জন্মে যায়। কিন্তু বিচ্ছেদের পরে তেমন ঘনিষ্ঠতা থেকে যাওয়া মুশকিল। তাই কিছু বিষয়ে আপনার এবং তার নিজস্ব পরিধির ব্যাপারে সচেতন থাকাই ভালো।
বিচ্ছেদের পর সঙ্গীর প্রতি অভিমান থাকতেই পারে। কিন্তু আরও পাঁচজনকে আপনার প্রাক্তনের ব্যাপারে কিছু বলা উচিত নয়। সম্পর্ক থাকুক বা না থাকুক, পারস্পারিক সম্মানের জায়গাটি যেন সব সময়েই অক্ষুণ্ণ থাকে, সে কথা মনে রাখতে হবে।
সম্পর্কে ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিলে অবশ্যই দুজনে অন্তত একবার হলেও বসে আলোচনা করুন। আলোচনাই পারে সকল সমস্যার সমাধান করতে।
দূরবর্তী সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ এড়াতে হলে অবশ্যই মাঝে মাঝে দেখা করতে হবে।
পরিশেষে বলা যায়, বিচ্ছেদ কখনই স্থায়ী সমাধান নয়। যারা আত্মসম্মানকে বেশি গুরুত্ব দেন তাদের ক্ষেত্রে বিচ্ছেদই সমাধান। তাই চেষ্টা করতে হবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।